বাংলাদেশ থেকে উদ্বুদ্ধ ইংলিশ কাবাডি খেলোয়াড়রা যে কারণে ভারতে
বঙ্গবন্ধু কাপে নাস্তানাবুদ হয়ে ঢাকা থেকে দেশে ফিরেছিল ইংল্যান্ড দল৷ তারপর কোথায় দেশে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নেবেন, তা নয়, ইংল্যান্ডের কয়েকজন কাবাডি খেলোয়াড় চলে গেছেন ভারতে! ছবিঘরে বিস্তারিত...
ঢাকার দুঃস্বপ্ন এবং সুদিনের আশায় ভারত গমন
দু বছর আগে বঙ্গবন্ধু কাপে গো-হারা হেরেছিল ইংল্যান্ড৷ সব ম্যাচ হারার সেই লজ্জা তাতিয়ে দেয় ফেলিক্স লি আর যুবরাজ পান্ডেকে৷ স্টার্ট-আপ কোম্পানির টেক-ম্যানেজার ফেলিক্স আর অ্যাকাউন্টেন্ট যুবরাজের জেদ চেপে যায়- ‘‘ভালো কাবাডি খেলোয়াড় হতেই হবে৷’’ ইংল্যান্ডে কাবাডির ভালো প্রশিক্ষণের সুযোগ নেই৷ তাই ২০২২ সালের নভেম্বরে দুজনই চলে যান ভারতে৷ উদ্দেশ্য- প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেকে বড় আসরের জন্য তৈরি করা৷
নগদে সুফল
ঢাকার দুঃস্বপ্ন পরের বছর ঢাকায় গিয়েই ভুলেছেন ফেলিক্স, যুবরাজরা৷কাবাডির আন্তর্জাতিক আসর বঙ্গবন্ধু কাপের ২০২৩ সালের আয়োজনে পোল্যান্ড এবং আর্জেন্টিনাকে হারায় ইংল্যান্ড৷ আগের আসরে সব ম্যাচ হারা দল সেই সুবাদে গ্রুপে বাংলাদেশ, ইরাক আর নেপালের পরেই চতুর্থ স্থানে! রাগবি, ফুটবল, ক্রিকেট ইত্যাদির দেশের জন্য তা নিঃসন্দেহে বেশ ভালো অর্জন৷
ঢাকায বোনা স্বপ্নের বীজ
২০২৩-এর বঙ্গবন্ধু কাপের অভিজ্ঞতা টম ডট্রের জন্যও খুব বড় প্রেরণা৷ ইংল্যান্ডের কাবাডি খেলোয়াড় টম জানালেন ঢাকার সেই স্মৃতি এখনো দোলা দেয় মনে, ‘‘একটা সময় প্যাশন আর চাপা থাকে না৷ বঙ্গবন্ধু কাপে খেলতে গিয়ে তা উপলব্ধি করেছি৷সেখানে দেশের হয়ে খেলতে যাওযা, ফ্যানদের সঙ্গে সেলফি তোলা এবং চারপাশে এত উচ্ছ্বাস দেখা- আহা, এমন বিষয়গুলো খেলোয়াড়ের মনটাকে যেন নবায়ন করে, নিজেকে আরো এগিয়ে নিতে উদ্বুদ্ধ করে৷’’
পেশাদার কাবাডি লিগে পেশাদার খেলোয়াড়
ভারতে প্রশিক্ষণ নিতে গিয়ে কাবাডির প্রেমে এতটাই বাঁধা পড়েছেন যে ফেলিক্স, যুবরাজ, টমদের আর দেশে ফেরা হয়নি৷ খেলায় দ্রুত উন্নতি দেখে প্রফেশনাল কাবাডি লিক (পিকেএল)-এর দাবাং দিল্লি দলে নিয়েছে তাদের৷ ভালোবাসার খেলা কাবাডিতে নিজেকে পুরোপুরি স্ঁপে দিতে চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন তারা৷
বিশ্বকাপ মাতানোর স্বপ্ন
আগামী বছর ইংল্যান্ডে বসবে কাবাডির বিশ্বকাপ আসর৷ওয়ার্ল্ড কাবাডি ফেডারেশন (ডাব্লিুউকেএফ) আয়োজিত এ আসর অবশ্য ‘মূল’ বিশ্বকাপ নয়৷ আন্তর্জাতিক কাবাডি ফেডারেশন (আইকেএফ) স্বীকৃত কোনো জাতীয় দল সেখানে অংশ নেবে না৷সেই ‘বিকল্প’ বিশ্বকাপেই ইংল্যান্ডকে কাবাডির উদীয়মান শক্তি হিসেবে তুলে ধরতে চান ফেলিক্স, যুবরাজ এবং টমরা৷